Lizard

মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মরা টিকটিকি, ক্ষোভ 

মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার টোনা উড়িয়াপাড়ার ১৬০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৯
Share:

বিষ-খাদ্য: খিচুড়িতে মরা টিকটিকি। অঙ্গনওয়াড়ির সামনে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। ছবি: সামসুল হুদা

মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলল মরা টিকটিকি। এই খবর চাউর হওয়ার আগেই কিছু শিশু ও প্রসূতি তা খেয়ে ফেলেন। অসুস্থ হয়ে পড়ে কিছু শিশু। এরপরেই বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার টোনা উড়িয়াপাড়ার ১৬০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। পুলিশ জানিয়েছে, অসুস্থ শিশুদের টোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের বেশি করে জল ও ওআরএস খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাদের বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পরে তিনি বলেন, ‘‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সকলেই সুস্থ আছে।’’

ঘটনাস্থলে আসেন ভাঙড় ২ যুগ্ম বিডিও পুষ্পেন দাস ও সিডিপিও অর্পিতা রায় সান্যাল। পুষ্পেন বলেন, ‘‘কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির নিজস্ব কোনও ঘর ও রান্নার শেড না থাকায় উড়িয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিদিন সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলে। প্রতিদিনের মতো এ দিনও নিজের আড়াই বছরের ছেলে নাসিম আহমেদের জন্য খিচুড়ি নিয়েছিলেন মা জাহানারা বিবি। ওই খিচুড়ি ছেলেকে খাওয়াতে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন, খাবারের মধ্যে একটা মরা সিদ্ধ টিকটিকি।

গ্রামবাসীরা চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখান। কেন্দ্রের রাধুনি অঞ্জলি মণ্ডল পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। পরে বাড়ি থেকে চলে আসেন কেন্দ্রের সহায়িকা সাহিদা খাতুন। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলাকালীন তিনি কেন বাড়িতে ছিলেন, তা নিয়েও গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি ওই কর্মী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement