নাবালিকা-বিয়ে রুখতে গিয়ে হেনস্থার শিকার 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসনাবাদ বিডিও অফিসের কন্যাশ্রী প্রকল্পের আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায়ের টেবিলে তিনি একটি চিরকুট পান। তাতে লেখা ছিল, শুক্রবার দুপুরে হাসনাবাদ থানা এলাকার একটি গ্রামে এক নাবালিকার বিয়ে হবে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০২:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

চিরকুটের মাধ্যমে এক নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে সেই বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন কন্যাশ্রী প্রকল্পের এক আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার হাসনাবাদের একটি গ্রামে। পুলিশ গিয়ে ওই আধিকারিককে উদ্ধার করে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসনাবাদ বিডিও অফিসের কন্যাশ্রী প্রকল্পের আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায়ের টেবিলে তিনি একটি চিরকুট পান। তাতে লেখা ছিল, শুক্রবার দুপুরে হাসনাবাদ থানা এলাকার একটি গ্রামে এক নাবালিকার বিয়ে হবে।

প্রণব বিষয়টি হাসনাবাদের বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়কে জানান। তাঁর নির্দেশ মতো প্রণব সিভিক ভলান্টিয়ার ও চাইল্ড লাইনের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে বেলা ৩টে নাগাদ গ্রামে পৌঁছন।

Advertisement

ততক্ষণে বাড়িতে বিয়ের আয়োজন প্রায় শেষ। চলে এসেছে বরও। শুরু হয়ে গিয়েছে খাওয়া-দাওয়া। এমন সময়ে সরকারি অফিসের লোকজনকে দেখে হকচকিয়ে যান দু’বাড়ির লোকজন। প্রণব পাত্রীর বয়সের শংসাপত্র দেখতে চান। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পুলিশ-প্রশাসনকে কারা খবর দিল, তা নিয়ে দু’বাড়ির লোকজনের নিজেদের মধ্যেও বচসা বাধে। ৭ জনের সরকারি দলটিকে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। বিডিওকে বিষয়টি জানান প্রণব। খবর পৌঁছয় থানায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশের উপস্থিতিতে প্রণব নাবালিকার বাবাকে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধার কথা বোঝান। নাবালিকা-বিয়ের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেন। সব শুনে নাবালিকার বাবা মেয়ের বয়স আঠারো না হলে বিয়ে দেবেন না, এই মর্মে মুচলেকা দেন। হাওয়া উল্টো দিকে ঘুরছে বুঝে ততক্ষণে আসর ছেড়েছে বর।

অরিন্দম বলেন, ‘‘আমরা অনেক নাবালিকা-বিয়ে বন্ধ করেছি। কিন্তু এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি কোনও দিনই হইনি। তবে শেষমেশ বিয়ে বন্ধ করা গিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement