Shantanu Thakur

শান্তনুকে তৃণমূলের ‘প্ল্যাটফর্মে’ আসার আহ্বান জ্যোতিপ্রিয়র 

সাম্প্রতিক সময়ে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ না হওয়া নিয়ে তাঁর উপরে চাপ আছে মতুয়াদের বড় অংশের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:২৫
Share:

বনগাঁয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

মতুয়াদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে জয়ী হয়ে আসা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের জন্য দরজা খুলে রাখছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বাগদায় দলের কর্মিসভা থেকে এ কথা জানালেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

তিনি শান্তনুর উদ্দেশে বলেন, ‘‘মতুয়াদের জন্য আমরা কাজ করতে চাই। শান্তনু যদি মতুয়াদের জন্য কাজ করতে চান, তা হলে দু’টো হাত মেলাতে আমাদের কোনও ক্ষতি নেই। তবে আমাদের প্ল্যাটফর্মে এসে ওঁকে কাজ করতে হবে। বিজেপির প্ল্যাটফর্মে থেকে নয়। কারণ বিজেপি ধান্দাবাজ, মিথ্যাবাদী প্রবঞ্চকের দল।’’

সাম্প্রতিক সময়ে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ না হওয়া নিয়ে তাঁর উপরে চাপ আছে মতুয়াদের বড় অংশের। সেই সূত্রেই কেন্দ্র তথা বিজেপির উপরে নানা ভাবে চাপ বাড়াতে চাইছেন শান্তনু নিজে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দিন কয়েক আগে সভা করেন গোপালনগরে। সেখানে শান্তনুর অনুপস্থিতি নজরে পড়েছে সকলেরই। মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িতে রাস উৎসবের অনুষ্ঠানে শান্তনু এর আগে বলেছেন, ‘‘কেন নাগরিকত্বের জন্য আমাদের বার বার ভিক্ষে চাইতে হচ্ছে? কেন বার বার আন্দোলন করতে হচ্ছে? কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি— সকলের কাছে আমরা ভিক্ষে চেয়েছি। অধিকার কেউ দেবে না। অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’’

Advertisement

এই প্রেক্ষিতেই শান্তনুকে দলে টানার আহ্বান জানিয়ে রাখলেন জ্যোতিপ্রিয়। বিজেপির বিরুদ্ধে শান্তনুর ক্ষোভকে এ দিন নানা ভাবে উসকে দিতে চেয়েছেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘আমি শান্তনুর সুরে সুর মিলিয়ে বলব, ওঁকে সাংসদ করার পরে মতুয়া সমাজের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করেছে বিজেপি। যা বলে গিয়েছিলেন (বনগাঁর সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) তার একাংশও পূরণ করতে পারেননি।’’ নাগরিকত্বের দাবিতে তাঁরা যে মতুয়াদের পাশেই আছেন, এ কথা বোঝাতে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। পাট্টা দেওয়া মানে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব পাওয়া।’’

এ নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘বন্যায় জলে ভেসে যাওয়া দিশেহারা মানুষ বাঁচার জন্য পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকেও ডাকে।’’ শীঘ্রই নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগের কাজ শুরু হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কী বলছেন শান্তনু নিজে?

তৃণমূলের আহ্বান তিনি যে একেবারে উপেক্ষা করছেন না, তার ইঙ্গিত মিলেছে শান্তনুর কথায়। বিজেপি সাংসদের কথায়, ‘‘জ্যোতিপ্রিয়র কথার কোনও উত্তর আমি এই মুহূর্তে দেব না। সময় হলে জানাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement