প্রতীকী ছবি।
নাবালিকাদের ভয় দেখিয়ে যৌন ব্যবসায় নামানোর অভিযোগে পুলিশ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছিল। সাড়ে পাঁচ বছর সেই মামলা চলার পরে শুক্রবার দোষী তিন জনের সাজা ঘোষণা করল ব্যারাকপুরের পকসো আদালত। বিশেষ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সাম্যজিৎ মুখোপাধ্যায় তাদের দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দু’হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ হয়েছে। বাকি তিন অভিযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী অসীম দত্ত বলেন, ‘‘নাবালিকাদের অনটনের সুযোগ নিয়ে তাদের যৌন ব্যবসায় নামিয়েছিল দক্ষিণেশ্বরের এক দম্পতি চন্দন বিশ্বাস ও রুমা বিশ্বাস। ওই নাবালিকাদের নিয়ে আসত পূজা ওরফে সোনামণি সাউ। তিন জনেরই দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।’’
সরকারি আইনজীবী জানান, ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই সিআইডি-র মানবপাচার রোধ শাখার কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, দক্ষিণেশ্বরের একটি আবাসনে কয়েক জন নাবালিকাকে জোর করে আটকে রেখে যৌন ব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ওই আবাসনে ক্রেতা সাজিয়ে পাঠানো হয় দুই সিআইডি অফিসারকে। টাকার বিনিময়ে নাবালিকাদের ওই তদন্তকারীদের সঙ্গে দু’টি আলাদা ঘরে পাঠায় চন্দন ও রুমা। এর পরেই সেখানে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ধরা পড়ে মোট ছ’জন। তিন নাবালিকাকেও উদ্ধার করা হয়। সেই মামলা চলাকালীন তথ্যপ্রমাণের অভাবে দুই সরবরাহকারী এবং এক ক্রেতা জামিন পেয়ে গেলেও মূল অভিযুক্তেরা বিচারাধীন বন্দি হিসেবে দমদম সংশোধনাগারে ছিলেন। এ দিন তাদেরই সাজা শোনানো হল।