খেলার একটি মুহূর্ত। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত সুপার ডিভিশন ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হল জাগ্রত সঙ্ঘ। রবিবার বনগাঁ স্টেডিয়াম আয়োজিত ফাইনালে তারা প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দেয়।
এ দিন খেলার শুরুতেই শঙ্কর ওঁরাও এর গোলে এগিয়ে যায় জাগ্রত। কিছুক্ষণ পরে বক্সের মধ্যে তিন জনকে কাটিয়ে দুরন্ত শটে জাগ্রতের পক্ষে ব্যবধান বাড়ান সঞ্জীব ভৌমিক। তারপরে খেলার ফেরার চেষ্টা করেছিল প্রতাপগড় স্পোর্টিং। প্রথমার্ধের শেষ দিকে প্রতাপগড়ের হয়ে একটি গোল শোধ করেন বিপ্লব বারুই। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই খেলার গতি শ্লথ হয়ে যায়। দু’দলই রক্ষণ সামলানোয় মন দেয়। খেলার শেষের কয়েক মিনিট আগে জাগ্রতের পক্ষে পর পর দু’টি গোল বাবলু দাস ও প্রভাত লাকড়া। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই অনেক ফুটবলপ্রেমী এ দিন মাঠে হাজির হয়েছিলেন। ফাইনাল খেলাটি পরিচালনা করেন রবীন বিশ্বাস।
আয়োজকেরা জানান, ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন জাগ্রতের সন্তু চক্রবর্তী। লিগের সেরা খেলোয়াড় জাগ্রতের শ্যামল চক্রবর্তী। ফাইনাল উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা সুব্রত বক্সী ও মানবেন্দ্র মোহল বন্দ্যোপাধ্যায়। চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স দলকে দেওয়া হয় ট্রফি এবং নগদ পুরস্কার। এ বার নয় দলের সুপার ডিভিশন ফুটবল লিগে মোট ২৩ টি ম্যাচ হয়েছে। এ এবং বি ডিভিশন লিগের খেলা আগেই শেষ হয়েছে। এ ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিদ্যায়তন ক্লাব এবং বি ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন দেবগড় নতুন কলোনি কালী মন্দির।
১৬ দলীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল বসিরহাট থানা আইসি একাদশ। রবিবার আয়োজিত ফাইনালে তারা ভ্যাবলা বিজয়ী সঙ্ঘকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দেয়। জয়ী দলের হয়ে গোলগুলি করেন অ্যালবার্ট (২), অম্লান সাহা এবং চার্লস। প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল বসিরহাটের এলিট ক্লাব। খেলাগুলি হয় আয়োজক ক্লাবের মাঠে। ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের এসডিপিও শ্যামল সামন্ত, আইসি দেবাশিস চক্রবর্তী, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, প্রাক্তন ফুটবলার গোপাল মজুমদার প্রমুখ। চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স দলকে দেওয়া হয় ট্রফি এবং নগদ পুরস্কার। ফাইনালের সেরা হয়েছেন ইসমাইল। প্রতিযোগিতার সেরা ডিফেন্ডার হয়েছেন আইসি একাদশের নাইজেরিয়ান ফুটবলার চার্লস। সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের সৌভিক মণ্ডল। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন রানার্স দলের শুভঙ্কর। মাঠে দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।