বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার আইএসএফ নেতা। প্রতীকী চিত্র।
এক বধূর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাঁকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের এক আইএসএফ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে কাশীপুর থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নেতা পেশায় টোটোচালক এবং আইএসএফের বুথ সভাপতি। বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তিনি মাঝেমধ্যেই টোটো করে ভাঙড় এলাকার এক বধূকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেতেন। কয়েক দিন আগে সন্ধ্যায় জামাকাপড় কেনার কথা বলে ওই বধূকে বাইকে করে রাজারহাট নিয়ে যান ওই নেতা। অভিযোগ, জামাকাপড় কিনতে যাওয়ার বদলে জামালপাড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে বধূকে ৩-৪ দিন ধরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, ভিডিয়ো করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন অভিযুক্ত। একই সঙ্গে বধূর গয়নাগাটিও বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
আইএসএফের অবশ্য দাবি, তৃণমূল তাদের নেতাকে ফাঁসিয়েছে। পোলেরহাট ২ অঞ্চলের সহ-সভাপতি ইজাজুল মোল্লা বলেন, ‘‘জমি কমিটি এবং তৃণমূল যৌথ ভাবে আইএসএফ নেতাকে ফাঁসিয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে পারছে না বলেই এই ধরনের চক্রান্ত হচ্ছে।’’