স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছেন আইএসএফ কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
কিছুদিন আগে ভাঙড়ে তাদের কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছিল আইএসএফ। সেই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার পোলেরহাট থানায় স্মারকলিপি দিল আইএসএফ। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, আইএসএফ-ই পরিস্থিতি অশান্ত করতে চাইছে। পোলেরহাট থানার ওসি সরফরাজ আহমেদ জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আইএসএফের দাবি, গত সোমবার হাতিশালা সরোজিনী হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে আইএসএফের অভিভাবক প্রতিনিধি বাবলু মোল্লা ও লালচাঁদ মিদ্দে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন। যদিও আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে মাদ্রাসার ওই ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ওই দিনই দুই আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি করা হয়।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই দুই আইএসএফ কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, তার পরেও পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করছে না। অভিযুক্তেরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ও হুমকি দিচ্ছে বলে আইএসএফের অভিযোগ। এ দিন আইএসএফ কর্মীরা মোটরবাইক মিছিল করে পোলেরহাট থানায় যান। প্রথমে তাঁরা থানার সামনে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পরে স্মারকলিপি জমা দেন।
আইএসএফের জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক বলেন, ‘‘মাদ্রাসার ভোটে যাতে আমাদের অভিভাবক প্রতিনিধিরা মনোনয়ন জমা না দেন, সেই কারণে ভয় দেখাতে বোমাবাজি করে তৃণমূল। অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।’’ তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য হাকিমুল ইসলামের পাল্টা দাবি, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। ভাঙড়ের মানুষ জানে কারা এলাকা অশান্ত করতে চাইছে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’