আক্রান্ত শরিফুল মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
টিউবওয়েলের মধ্যে বালি ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক যুবক। লোহার রড মেরে প্রতিবাদীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গায় এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগকে রটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় আইএসএফ নেতৃত্ব। তবে আক্রান্তের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শরিফুল মণ্ডল নামে দেগঙ্গার পণ্ডিতপোল এলাকার এক বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফুলের অভিযোগ, শনিবার রাতে পণ্ডিতপোল এলাকার দু’জন যুবক সরকারি অর্থে তৈরি ২টি টিউবওয়েলর মধ্যে বালি ঢুকিয়ে দেন। ওই যুবকেরা আইএসএফ কর্মী বলে দাবি তাঁর।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, টিউবওয়েলের মধ্যে বালি ঢোকানোর ছবি এলাকার এক বাসিন্দার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এলাকার যুবক সুরজ সর্দার এবং জসিম সর্দার টিউবওয়েলের মধ্যে বালি ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।
স্থানীয়দের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে সে দৃশ্য দেখে প্রতিবাদ করেন শরিফুল। এর পর অভিযুক্তদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় তাঁর। সে সময় লোহার রড দিয়ে শরিফুলের মাথায় আঘাত করেন অভিযুক্তদের এক কাকা জামশেদ সর্দার। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শরিফুল। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এর পর শরিফুলকে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শরিফুল বলেন, ‘‘৫০০ ফুটের ২টো টিউবওয়েলে বালি দিচ্ছিল আইএসএফ কর্মী সুরজ এবং জসিম। প্রতিবাদ করায় আমার মাথায় রড দিয়ে মারে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দেগঙ্গা ব্লক সম্পাদক কুতুবউদ্দিনের দাবি, ‘‘এলাকায় রটানো হয়েছে এটা আইএসএফের কাজ। তবে আইএসএফ কোনও ভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নয়।’’
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শরিফুলের মাথায় ৮টি সেলাই পড়েছে। দেগঙ্গা থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত। শরিফুলের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।