Jaynagarer Moya

Indian post office: ডাকবিভাগের খামে জয়নগরের মোয়া

প্রায় একশো বছর আগে এই মোয়ার জন্ম। কনকচূড় ধানের খই ও নলেন গুড়ের মিশেলে তৈরি মোয়ার জনপ্রিয়তা গোটা রাজ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারুইপুর শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩৫
Share:

ডাকবিভাগের বিশেষ খামে জয়নগরের মোয়ার ছবি। নিজস্ব চিত্র।

ভারতীয় ডাকবিভাগের বিশেষ খামে ছাপা হল জয়নগরের মোয়ার ছবি।

Advertisement

বুধবার বারুইপুর ডাকঘরে এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় ডাকের দক্ষিণ প্রেসিডেন্সি বিভাগ ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ‘অ্যাপেডা’র যৌথ উদ্যোগে জয়নগরের মোয়ার বিশেষ খামটি প্রকাশ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডাকবিভাগের কলকাতা অঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল নীরজকুমার, পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার শিখা মাথুর কুমার-সহ অনেকে। এদিন বারুইপুর ডাকঘর থেকে নতুন খাম বিক্রি করা হয়। আগামিদিনে জিপিও থেকেও এই খাম মিলবে বলে জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ প্রেসিডেন্সি বিভাগ সূত্রের খবর, বিশেষ কোনও বিষয়কে স্মরণীয় করে রাখতেই এই ধরনের খাম প্রকাশ করা হয়। এর আগে এই জেলা থেকে গঙ্গাসাগর মেলার খাম প্রকাশ করা হয়েছিল।

Advertisement

জয়নগরের মোয়ার ছবি-সহ খাম প্রকাশ। বুধবার বারুইপুর ডাকঘরে। ছবি: সমীরণ দাস

২০১৫ সালে জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) পায় জয়নগরের মোয়া। প্রায় একশো বছর আগে এই মোয়ার জন্ম। কনকচূড় ধানের খই ও নলেন গুড়ের মিশেলে তৈরি মোয়ার জনপ্রিয়তা গোটা রাজ্যে। শীতের তিন মাস মোয়ার টানে বহু মানুষ আসেন জয়নগরে। দেশ-বিদেশেও এর কদর আছে। তবে ব্যবসায়ীদের তরফে দেশ ও দেশের বাইরে মোয়া পাঠানোর চেষ্টা খুব সফল হয়নি। খাম প্রকাশের পরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে মোয়ার পরিচিতি ও চাহিদা বাড়বে বলে মনে করছেন ডাকবিভাগের কর্তারা। নীরজ কুমার বলেন, “জয়নগরের মোয়ার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিচিতির জন্য এই বিশেষ খাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আগামিদিনে মোয়ার রফতানিতেও ডাকবিভাগ সাহায্য করবে।’’ খামে জয়নগরের মোয়ার সঙ্গেই জায়গা করে নিয়েছে জয়নগর মোয়া নির্মাণকারী সোসাইটির নাম। সংগঠনের সম্পাদক অশোক কয়াল বলেন, “ডাকবিভাগের খামে জায়গা করে নেওয়াটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। এর ফলে আগামিদিনে জয়নগরের মোয়ার প্রচার ও প্রসার বাড়বে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement