Police Inspection

দেগঙ্গার গ্রামে ফের মারপিট শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর

দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হকের গোষ্ঠীর লোকজনই বার বার গন্ডগোলে জড়়াচ্ছে বলে অভিযোগ দলের একাংশের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:২১
Share:

টহল পুলিশের। দেগঙ্গায়। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেগঙ্গা থানার নিরামিশা গ্রাম। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ টহল দিচ্ছে এলাকায়। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর গোলমাল নতুন নয়। এ দিন সকালে নিরামিশা বাজারে ফের গোলমালে জড়ায় দু’পক্ষ। দা-কুড়ুল নিয়ে মারপিট শুরু হয়। আমুলিয়া পঞ্চায়েতের সদস্যের স্বামী এমদাদুল হক সহ দু’পক্ষের প্রায় ৮ জন জখম হয়েছেন। এমদাদুল বলেন, ‘‘সকালে নিরামিশা বাজারে দলীয় অফিসে বসেছিলাম। বাইরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পাই। গিয়ে দেখি, বেশ কয়েকজন লোক আমার ভাইদের মারধর করছে। বাধা দিতে গেলে আমাকে কুড়ুল দিয়ে মাথায় কোপ মারে। এক মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয়।’’ মহসিন গোলদার, সাইফুল ইসলামদের পাল্টা দাবি, ‘‘আমরা সকলে তৃণমূল করি। দলেরই এক গোষ্ঠী আমাদের উপরে হামলা চালায়।’’ দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হকের গোষ্ঠীর লোকজনই বার বার গন্ডগোলে জড়়াচ্ছে বলে অভিযোগ দলের একাংশের। সে কথা অবশ্য দুই নেতানেত্রী মানতে চাননি। এ দিনের গোলমাল গোষ্ঠী কোন্দল নয় বলেই দাবি করেছেন দু’জন। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে বসে মিটিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement