ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। — প্রতীকী চিত্র।
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে (এনপিএস) কর্পোরেট সংস্থার সদস্যের সংখ্যা কম হওয়ায় উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএ। তাদের দাবি, এই প্রকল্পে লগ্নি থেকে আয় অন্য অনেক বিনিয়োগ প্রকল্পের থেকে ভাল। কিন্তু সে ভাবে কর্পোরেট সংস্থার কর্মীরা এনপিএসে আগ্রহ দেখান না। ইতিমধ্যেই এই সব সংস্থার কর্মীদের প্রকল্পটিতে শামিল করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে তারা। আগামী দিনে এনপিএস-এর জনপ্রিয়তা বাড়াতে আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে প্রকল্প বিপণন, ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা সংস্থাকে পয়েন্ট অব প্রেজেন্স লাইসেন্স দেওয়ার মতো আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।
শনিবার অ্যাসোসিয়েশন অব এনপিএস ইন্টারমিডিয়ারিজ়ের উদ্বোধন করেন পিএফআরডিএ-র চেয়ারম্যান দীপক মোহান্তি। এর সদস্য হিসেবে থাকবেন পেনশন ফান্ড ম্যানেজার, পেনশন এজেন্ট প্রমুখ। তাঁর মতে, সংগঠনটি প্রকল্পের প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে।
এই অনুষ্ঠানের পরেই মোহান্তির দাবি, বর্তমানে পেনশন প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন ৮ কোটি সদস্য। এর মধ্যে ৬.৪ কোটিই অটল পেনশন যোজনায়। বাকি ১.৬ কোটি এনপিএস-এ। তাঁদের মধ্যে ৬২ লক্ষ বেসরকারি ক্ষেত্রের। তবে এনপিএস-এর আওতায় থাকা কর্পোরেট সংস্থার কর্মী ১৮ লক্ষ। অথচ যাঁরা শেয়ার ভিত্তিক এনপিএস প্রকল্পে টাকা তাঁরা শুরু থেকে বছরে গড়ে ১৪.৪% রিটার্ন পাচ্ছেন। শেয়ার ও ঋণপত্র ভিত্তিক প্রকল্পে আয় ৯.৬%। তিনি বলেন, “দেশে প্রায় ১৮,০০০ কর্পোরেট সংস্থা রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলিই এনপিএস-এ যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের কর্মীরা সেই ভাবে প্রকল্পটির সদস্য হননি। সেই কর্মীদের এনপিএস-এর আওতায় আনাটা বড় চ্যালেঞ্জ।’’