রবিবার সকালে দু’জনের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দশকে আগে একতারা গ্রামের জ্বালানি পাড়ার বাসিন্দা পিনাকী মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় বাসনা পুরকাইতের। তবে বাসনা ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী।
মানস সাউ ও বাসনা পুরকাইত নিজস্ব চিত্র
নিজেদের পরকীয়া সম্পর্ক জানাজানি হতেই আত্মহত্যা করলেন প্রেমিক যুগল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার একতারা এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতদের নাম বাসনা পুরকাইত (৩৪) ও মানস সাউ (২৯)।
রবিবার সকালে নিজেদের বাড়ি থেকে নিজেদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দশেক আগে একতারা গ্রামের জ্বালানি পাড়ার বাসিন্দা পিনাকী মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় বাসনা পুরকাইতের। বাসনা ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। পিনাকীর আগের পক্ষের একটি ছেলেও ছিল।
অন্য দিকে বাসনারও আগে এক বার বিয়ে হয়েছিল। কাজের সূত্রে বাসনার স্বামী ও সৎ ছেলে বাইরে থাকতেন। সেই সময় তাঁর থেকে তিন বছরের ছোট প্রতিবেশী যুবক মানস সাউয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী, ছেলে না থাকায় বাসনার সঙ্গে মানসের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। মানসের বাড়ি সাগরের সাপখালি এলাকায় হলেও স্থানীয় রায় পাড়ায় পিসির বাড়িতে থাকতেন।
শনিবার বাসনার স্বামী পিনাকী মণ্ডল এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে রাতে তাঁর বাড়িতে আসেন মানস। ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তাঁদের দেখে ফেলে বাসনার সৎ ছেলে। সেই খবর জানাজানি হতে রাতেই নিজদের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন দু’জনে।
দু’জনের দেহ উদ্ধার করে উস্থি থানার পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।