উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির হাঙর। — নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি ভাবে সমুদ্র থেকে ৬৮টি হাঙরের বাচ্চা ধরে এনে অন্যত্র পাচারের আগেই বন দফতরের জালে ধরা পড়ে গেল চার মৎস্যজীবী। রবিবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কার্তিক দেওয়ান, গৌতম দাস, ভরত মাইতি এবং অমল ভুঁইঞা। সোমবার তাঁদের কাকদ্বীপ আদালতে হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সমুদ্র থেকে হাঙরের বাচ্চা ধরে এনে বিক্রির ছক করছিল কয়েকজন মৎস্যজীবী। এমন খবর আসে বন বিভাগের বকখালি রেঞ্জের কাছে। সেই মতো টহলদারি দলকে সতর্ক করা হয়। বিভিন্ন খাঁড়ি, নদী এবং উপকূল এলাকায় চলে নজরদারি। রেঞ্জার বিমল মাইতির নেতৃত্বে অভিযান চলছিল ফ্রেজারগঞ্জের কাছে পাতিবুনিয়া রিজার্ভ ফরেস্টের এডওয়ার্ড ক্রিকে। সন্দেহ হওয়ায় কয়েকটি নৌকাকে আটক করা হয়। তার মধ্যে থেকেই একটিতে তল্লাশি করে এই ৬৮টি হাঙরের বাচ্চা পাওয়া যায়।
বন দফতর জানিয়েছে, যে হাঙরের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলি বিরল প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই বিষয়ে জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল সোমবার বলেন, ‘‘ওই মৎস্যজীবীরা হাঙরের বাচ্চাগুলি পাচারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেন বনকর্মীরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’