বাজেয়াপ্ত: থানায় আনা হয়েছে অস্ত্রশস্ত্র। নিজস্ব চিত্র
গ্রিল কারখানায় তৈরি হত অস্ত্র। অভিযান চালিয়ে পুলিশ শুক্রবার রাতে জীবনতলা থানার ঝোড়োর মোড়ের ওই কারখানা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম আবু কালাম মিস্ত্রি ও মোজাফ্ফর মিস্ত্রি। এদের বাড়ি জীবনতলা থানার নাগরতলার ঝোড়োর মোড় ও নলকাড়া গ্রামে। ধৃতদের কাছ থেকে ১৭টি তৈরি একনলা পাইপগান, ৯টি অসমাপ্ত একনলা পাইপগান, ড্রিল মেশিন, পালিশ মেশিন-সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খাঁন বলেন, ‘‘গ্রিল তৈরির কারখানার আড়ালে অস্ত্র তৈরি করা হত বলে আমরা খবর পাই। সেই মতো অভিযান চালানো হয়। ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে, তারা কোথায় কোথায় আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করত। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাদের খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঝোড়োর মোড়ে আবু কালামের একটি গ্রিলের দোকান রয়েছে। অভিযোগ, তার আড়ালে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হত। ওই কারখানায় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ক্যানিং, বারুইপুর, বাসন্তী, ভাঙড়-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করত মোজাফ্ফর। এর আগে এক অস্ত্র সরবরাহকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ মোজাফ্ফরের নাম জানতে পারে। সেই মতো বেশ কয়েক মাস ধরে মুজাফ্ফরের ফোনে আড়ি পাতচ্ছিল পুলিশ। পরে গোপন সূত্রে খবর আসে, জীবনতলা থানার ঝোড়োর মোড়ে আবু কালামের গ্রিল কারখানার আড়ালে অস্ত্র তৈরি হয়। ওই কারখানা থেকে অস্ত্র নিয়ে মুজাফ্ফর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ৭-৮ হাজার টাকা দরে পাইপগান সরবরাহ করত। এ দিন রাতে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীরতন বিশ্বাস ও জীবনতলা থানার ওসি সুভাষ ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ ওই গ্রিল কারখানায় হানা দেয়। সে সময়ে আবু কালাম ও মোজাফ্ফর অস্ত্র তৈরি করছিল বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ যেতেই আবু পালিয়ে গিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। তার পিছনে স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের পুলিশও পুকুরে ঝাঁপ দেয়। ধরে ফেলা হয় আবুকে।