স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ! প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। পিঠে এবং গলায় কোপ মেরে রাস্তার উপরে তাঁকে ফেলে পালালেন স্বামী। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটিয়ায়। পথচলতি মানুষ ওই গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আক্রান্ত ওই গৃহবধুর নাম কোহিনূর বিবি। তিনি দেগঙ্গার মাটিকুমড়ার বাসিন্দা। মাটিয়া থানার উত্তর দেবীপুরের বাসিন্দা নজরুল মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপরে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন স্বামী। প্রায়শই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে তাঁকে মারধর করতেন স্বামী। কিছু দিন আগে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন কোহিনূর। মির্জানগর এলাকায় একটি জুট মিলে কাজ করতেন। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ সাইকেলে করে তিনি বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ তাঁকে স্বামী আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বধূর বাপের বাড়ির লোকজন।
আহত মহিলার দাদার অভিযোগ, ‘‘একটি দড়িকলে কাজ করে বোন। রাত দশটার সময় ছুটি হয় কাজের। দুপুরে আমার বোনকে ওর বর বলেছিল, ‘ফিরে এলে তোকে কোপাব।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘‘দিনে ৩০০ টাকা রোজগার করলে ৩০০ টাকারই গাঁজা-মদ খায় বোনের বর। তার পরই এই হামলার ঘটনা।’’ অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করেন তিনি।
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করেন পথচলতি কয়েক জন। তাঁরাই মহিলার বাপের বাড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দেগঙ্গা থানার পুলিশও। আহত বধূকে ভর্তি করা হয় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে। তিনি জানান, অন্ধকারে দেখতে পাননি ঠিক কী দিয়ে স্বামী তাঁকে মেরেছেন। তবে ভারী কিছুর আঘাত পান মাথায়। অন্য দিকে, এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।