মেঘের পরে মেঘ জমেছে বকখালির সৈকতে। —নিজস্ব চিত্র।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। পাশাপাশি মঙ্গলবার আরও একটি নিম্নচাপ আসার কথা রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় ঠেকাতে আগাম ব্যবস্থা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসন। জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বকখালিতে সোমবার থেকে আগামী দু’দিন হোটেল বুকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সময় পর্যটক শূন্য থাকবে বকখালি।
সোমবার এবং মঙ্গলবার বকখালিতে হোটেল বন্ধ থাকবে। বন্ধ হোটেলগুলির বুকিংও। রবিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকদের সমুদ্রে নামাতে নিষেধ করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে বকখালিতে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতেও। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশের আগেই সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে প্রশাসন। মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। উপকূল এবং বাঁধের ধারের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাইক্লোন সেন্টারগুলিও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। চালু করা হয়েছে দু’টি হেল্পলাইন— ০৩৩-২৪৪৮৮০৫১ এবং ০৩৩-২৪৪৮৮০৫২। কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রত্যেক বিভাগকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্বীপাঞ্চলের পাশাপাশি বেহাল বাঁধ যে সব এলাকায় রয়েছে, সেখানে আমরা বিশেষ নজর রাখছি। ইয়াসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই এ বারের বিপর্যয় মোকাবিলা করা হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-এর ২৫ সদস্যের একটি দল ইতিমধ্যেই কাকদ্বীপে পৌঁছেছে। নামখানা, পাথরপ্রতিমা এবং সাগরের জন্যও একটি করে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এসডিআরএফ) পাঠানো হচ্ছে। রবিবার সকাল থেকেই বকখালি এবং ফ্রেজারগঞ্জে পর্যটকদের সতর্ক করতে নেমে পড়ে উপকূল রক্ষী বাহিনী।