রাজ্যকে নির্দেশ হাই কোর্টের নিজস্ব চিত্র।
মৌসুনি দ্বীপে স্থায়ী নদী বাঁধ নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। ভাঙন কবলিত মৌসুনিতে কংক্রিটের বাঁধ তৈরির দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। শুক্রবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২ জুলাইয়ের মধ্যে মৌসুনি দ্বীপ নিয়ে সরকারের যাবতীয় ব্যবস্থা বিস্তারিত ভাবে আদালতকে জানাতে হবে।
সুন্দরবনের ভাঙন কবলিত দ্বীপগুলির মধ্যে অন্যতম মৌসুনি। দ্বীপের অধিকাংশ বাঁধ কাঁচা হওয়ায় প্রতি বছরই ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। কিছু দিন আগে ইয়াস ও পুর্নিমার ভরা কোটালের প্রভাবে নদী ও সমুদ্রে জলস্ফীতির কারণে গোটা দ্বীপটাই কার্যত ডুবে গিয়েছিল। ভাঙন ঠেকাতে মৌসুনি দ্বীপে স্থায়ী বাঁধ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। ইয়াসের পর গত ৭ জুন কংক্রিটের বাঁধ তৈরির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রাজেশ ক্ষেত্রী।
শুক্রবার সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে রাজ্য সরকারকে লিখিত হলফনামা জমা দিতে বলেছে বেঞ্চ। হলফনামায় মৌসুনি দ্বীপ নিয়ে ব্যবস্থাপনা ও উদ্যোগের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানাতে হবে রাজ্যকে। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী রাজেশ ক্ষেত্রী বলেন, ‘‘এই দ্বীপে দীর্ঘদিন ধরেই স্থায়ী বাঁধ তৈরির দাবি জানাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের হয়েই আমি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করি।’’