সকালে খোলা থাকলেও বিকেলে বন্ধ হয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। শুক্রবার ছবি তুলেছেন সুমন সাহা
জয়নগরের মোমরেজগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সর্বক্ষণের চিকিৎসক থাকার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকে (সিএমওএইচ) ওই নির্দেশ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর দশেক আগেও ওই হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসক থাকতেন। বছর পাঁচেক ধরে চিকিৎসা পরিষেবা দেন কয়েকজন নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কয়েকজন কর্মী। হাসপাতালের দশা ফেরাতে বছর দু’য়েক আগে এলাকার বাসিন্দা গৌর সর্দার আশপাশের বেশ কিছু লোকজনের সই নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সচিব, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ও জয়নগরের বিডিওকে। তাতেও সুরাহা না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেন গৌরবাবুরা।
তাঁদের আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী জানান, মামলার আবেদনে বলা হয় এলাকার দশটি গ্রামের বাসিন্দারা ওই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। চিকিৎসক না থাকায় এলাকার লোকজনকে বহু দূরের বারুইপুর হাসপাতালে যেতে হয়। মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতালের নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা রয়েছেন ঠিকই। কিন্তু নিয়মিত ও সর্বক্ষণের চিকিৎসক থাকলে সঠিক পরিষেবা পাওয়া যায়।কয়েক মাস আগের শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়েছিলেন, ওই হাসপাতাল নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই সেখানে চিকিৎসক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ তখন অভিযোগ করেছিলেন, দু’বছর আগে মামলা দায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এখনও কোনও চিকিৎসক সেখানে নিযুক্ত হননি। কেন কোনও চিকিৎসক ওই হাসপাতালে যাচ্ছেন না, তা-ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা দেখছেন না।
এ দিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মোমরেজগড় গ্রামীণ হাসপাতালে সবর্ক্ষণের চিকিৎসক থাকার ব্যবস্থা করতে।