এই চালই রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছিল পড়ুয়াদের। হেমনগরে। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে চাল। কিছু চাল ছড়ানো মেঝেতে। কোনও চালের বস্তার মুখ খোলা। সেই চাল দিয়েই রান্না হচ্ছে মিড ডে মিল। অভিভাবকেরা তা দেখে স্কুলে এসে রান্না বন্ধ করে দেন। ভাত ফেলে দিতে বাধ্য করা হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। বাইরে থেকে চাল এনে নতুন ভাবে রান্না করা হয়। অভিভাবকেরা মিড ডে মিলের ঘরে তালাও ঝুলিয়ে দেন।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হেমনগর থানার যোগেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষক নিখিলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘আজ স্কুলে যেতে পারিনি, তবে শুনেছি, চালের মান নিয়ে অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে চালের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি জানতে পারলে ওই চালে মিড ডে মিল রান্না হত না। আমরাও চাই, বাচ্চাদের ভাল খাবার দিতে।’’ প্রধান শিক্ষক আরও জানান, মিড ডে মিলের চাল রাখার কোনও ভাল ব্যবস্থা নেই। তাই ফাঁকা ঘরের মধ্যে চাল রাখতে হয়। ফলে ভাল চালও কিছু দিনের মধ্যে খারাপ
হয়ে যায়।
রূপক মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘বাচ্চাদের থেকে আগেই জেনেছিলাম, যে ভাত তাদের দেওয়া হয় তা খাওয়ার যোগ্য নয়। একাধিকবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা কেউ শুনছিলেন না। তাই আমরা কয়েকজন আজ স্কুলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’ একই বক্তব্য বিকাশচন্দ্র মণ্ডল, কমলেশ মণ্ডলের মতো অভিভাবকদেরও।