প্রতীকী ছবি।
স্কুল পড়ুয়াদের কেশ কর্তনের টাকা জোগালেন প্রধান শিক্ষক! পড়ুয়াদের কেশচর্চায় উৎসাহদানের জন্য নয়। বরং তাদের লাগামছাড়া কেশচর্চায় রাশ টানার জন্যই এই সিদ্ধান্ত ক্যানিংয়ের খাসকুমড়াখালি মাধ্যমিক শিক্ষায়তনের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম খানের। চুলের ছাঁট রুচিসম্মত মনে না হওয়ায় পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির জনাপঞ্চাশ ছাত্রকে বৃহস্পতিবার চুল কাটানোর জন্য মাথা-পিছু ২০ টাকা করে দিয়েছেন তিনি। আগামী সোমবার সব ছাত্রকে যথাযথ ভাবে চুল ছেঁটে স্কুলে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।
কেন হঠাৎ ছাত্রদের চুল নিয়ে এই চুল-চেরা বিশ্লেষণ? ইদানীং কিছু ছাত্র নিজেদের ইচ্ছেমতো চুলের ছাঁট বদল করছে। কেউ চুল কাটাচ্ছে বলিউড তারকাদের ধাঁচে। কেউ কাটাচ্ছে কোনও গায়ক বা খেলোয়াড়ের ধাঁচে। কেউ আবার চুলে বিভিন্ন ধরনের রঙও করছে। দিনের পর দিন পড়ুয়াদের মধ্যে এই রকম কেশ-চর্চা বেড়ে যাওয়ায় স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি শিক্ষকদের। যে সব ছাত্রের চুলের ছাঁট দৃশ্যদূষণ করছে, এ দিন প্রাথমিক ভাবে তাদের প্রত্যেককে ২০ টাকা করে দিয়ে রুচিসম্মত ভাবে চুল কেটে স্কুলে আসার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক।
সাইফুল বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ওদের ভাল করে চুল কেটে স্কুলে আসতে বলেছি। এরপরে আমরা স্কুলের তরফ থেকে আশেপাশের সেলুন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করব। স্কুলের তরফ থেকে তাঁদের কাছে আবেদন করা হবে, তাঁরাও যাতে পড়ুয়াদের চুল ঠিক ভাবে কাটেন। পড়ুয়াদের কথামতো না কাটেন।” তিনি আরও জানান, এতেও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তা হলে অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হবে।