ধৃত যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিক। —নিজস্ব চিত্র
হাড়োয়ায় ২১ জুলাই দুই তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় এ বার পুলিশের জালে দলেরই অঞ্চল সভাপতি-সহ দু’জন। শুক্রবার রাতে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে হাড়োয়ার মোহনপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিক এবং তাঁর সহযোগী বিকাশ বরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ২৩ জন গ্রেফতার হয়েছে।
গত ২১ জুলাই হাড়োয়ার মোহনপুরের ট্যাংরামারি এলাকায় ‘শহিদ দিবস’-এর কর্মসূচি থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁরা হলেন, লক্ষ্মীবালা মণ্ডল (৬২) এবং সন্ন্যাসী সর্দার (৩৮)। ওই ঘটনাকে ঘিরে অভিযোগ উঠছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের। আরও অভিযোগ ওঠে, ওই কাণ্ডে ভাস্কর দাস নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে গুলি চালানো হয়। সেই ভাস্কর এখন পুলিশের জালে। ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত যজ্ঞেশ্বর ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতে তাঁকে নবদ্বীপ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধরা পড়েছেন তাঁর সঙ্গী বিকাশও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়া খুনের পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন যজ্ঞেশ্বর। তিনি মোবাইল ফোনও ব্যবহার করছিলেন না। তবে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।
হাড়োয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই শাসকদলের বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত। অনেকেরই ধারণা, ভেড়ি এবং এলাকার ক্ষমতা দখল নিয়ে দীর্ঘ দিনের গোষ্ঠীকোন্দলের জের ওই হত্যাকাণ্ড। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। দলীয় কর্মী হত্যার ঘটনায় তৃণমূল নেতার গ্রেফতার নিয়ে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘আগেও বলেছিলাম, দলীয় স্তরে যদি কেউ যুক্ত থাকে তাকে রেয়াত করা হবে না। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। দলীয় ভাবেও ওই ঘটনায় তদন্ত চলছে।’’