কাঠের পাটাতনের উপর দিয়েই নৌকা থেকে এ ভাবেই ওঠানামা করেন যাত্রীরা। ছবি: নির্মল বসু
সুন্দরবন এলাকায় নদীপথের গুরুত্ব খুবই। এ দিকে, জেটিঘাট না থাকায় চলছে ভোগান্তি। কাদা মেখে প্রতি দিন নৌকোয় উঠতে হয় যাত্রীদের। মাঝে মধ্যেই পা পিছলে পড়ে ঘটে দুর্ঘটনা। বহু বার জেটিঘাটের দাবি জানিও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের।
সন্দেশখালি ২ ব্লকের তালতলা ফেরিঘাটে চলছে এই অবস্থা। হাঁটুসমান কাদা ভেঙে যাতায়াত করতে হয় নৌকোর যাত্রীদের। বাসিন্দারা নদীর পাড়ে পুরনো ভাঙাচোরা বিদ্যুতের খুঁটি পোল ফেলে তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল, ধনঞ্জয় সর্দারেরা জানান, বিডিও-বিধায়ক, সকলকেই সমস্যার কথা বহু বার জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। কাদার মধ্যে দিয়ে ওঠানামা করতে হয়। অনেকে কাদায় পড়ে যায়। জেটিঘাট তৈরি হলে হল খুবই উপকার হবে।
সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “ভাঙনপ্রবণ এলাকায় জেটিঘাট তৈরি করতে খুবই সমস্যা হয়। ওখানে যাতে উন্নতমানের কোনও জেটিঘাট নির্মাণ করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করব।”