Sabooj Sathi cycle

সবুজ সাথীর সাইকেল বাইরে বিক্রি করতে গিয়ে ধৃত বাগদার স্কুলের কর্মী, গ্রেফতার ক্রেতাও

মঙ্গলবার অভিযুক্ত মুকুল বিশ্বাস স্কুল থেকে একটি সবুজ সাথীর সাইকেল বার করে শুকদেব ভদ্র নামে একজনের কাছে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনাতেই গ্রেফতার মুকুল এবং শুকদেব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাগদা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ ১৩:৫৯
Share:

(বাঁ দিকে) দোকানে সবুজ সাথীর সাইকেল। চুরির দায়ে ধৃত স্কুলের কর্মী মুকুল বিশ্বাস (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

স্কুলপড়ুয়াদের জন্য সরকার থেকে পাঠানো সবুজ সাথীর সাইকেল চুরি করে বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে স্কুলেরই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মুকুল বিশ্বাস স্কুল থেকে একটি সবুজ সাথীর সাইকেল বার করে অন্য এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।

Advertisement

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের সব সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল এবং মাদ্রাসায় নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হবে। সেই থেকে রাজ্যের স্কুলগুলি থেকেই সাইকেল পাচ্ছে পড়ুয়ারা। এ বার সরকারি প্রকল্পের সেই সাইকেলই বাইরে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলেন বাগদার স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মুকুল মঙ্গলবার সকালে স্কুল থেকে সবুজ সাথীর একটি সাইকেল বার করে শুকদেব ভদ্র নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। স্থানীয়েরা জানতে পেরে খোঁজখবর শুরু করেন। খবর যায় স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা এবং পরিচালন সমিতির কাছে। অভিযোগ পেয়ে সাইকেল সারাইয়ের দোকানে গিয়ে সেই সাইকেলের হদিস পান স্থানীয়েরা। এর পর খবর দেওয়া হয় বাগদা থানার পুলিশকে। পুলিশ মুকুল এবং শুকদেবকে আটক করে। বুধবার সকালে স্কুলের তরফ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষিকা শীলা বিশ্বাস বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুকুল এবং শুকদেবকে গ্রেফতার করেছে বাগদা থানার পুলিশ।

ঘটনা সম্পর্কে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি বিপ্লব দাস বলেন, ‘‘মুকুল বিশ্বাস স্কুলের একদম পাশেই থাকেন। তাই তাঁর কাছেই স্কুলের চাবি থাকত। লোক মারফত খবর পাই, মুকুল সবুজ সাথীর সাইকেল বার করে বিক্রি করে দিয়েছেন শুকদেব ভদ্র নামে এ কজনের কাছে। সত্যি যদি মুকুল সাইকেল চুরি করে থাকেন, তাহলে সেটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। ওঁর মতো এক জন কর্মী এই কাজ করবেন, সেটা ভাবতেও পারছি না!’’

Advertisement

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষিকা বলেন, ‘‘স্কুল থেকে একটি সবুজ সাথীর সাইকেল বার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই খবর পেয়েই আমি সভাপতিকে জানাই। তালিকা মিলিয়ে দেখলাম, সত্যি একটি সাইকেল কম রয়েছে। তার পর প্রশাসনের দ্বারস্থ হই।’’ তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষিকা কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তা বলতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement