Murder

স্ত্রী-সন্তানকে খুনে  ধৃত মূল অভিযুক্ত

রাত ৩টে নাগাদ সাইফুদ্দিন বাথরুমে গিয়ে বিদ্যুতের তারে একটি লোহার রড জড়ায়। মিনিট পনেরো বাদে সেখান থেকে এসে হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় পর পর তিনবার ঘা মারে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বিদ্যুতের তার স্ত্রীর গায়ে জড়িয়ে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৪৬
Share:

সাইফুদ্দিন সর্দার

ক্যানিংয়ের হাটপুকুরিয়া গ্রামে স্ত্রী ও ছ’মাসের সন্তানকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাইফুদ্দিন সর্দারকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় সে অপরাধের কথা কবুল করেছে। পারিবারিক বিবাদের জেরেই স্ত্রীকে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে। তবে জানিয়েছে, সন্তানকে খুনের ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ির ঘা মেরে বিদ্যুতের শক দিয়েছিল সে। তাতে শিশুটিরও মৃত্যু হয়।

Advertisement

রবিবার সকালে উত্তর হাটপুকুরিয়া গ্রামে সাইফুদ্দিনের ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় স্ত্রী মোমেনা সর্দার ও ছ’মাসের সন্তান সাহাদ সর্দারের দেহ। জানা যায়, প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে সাইফুদ্দিন দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। প্রথম স্ত্রী রাবেয়া তা মেনে নেননি। জানতে পেরে অশান্তি শুরু করেন দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনাও।

পুলিশি জেরায় সাইফুদ্দিন জানিয়েছে, ঘটনার রাতে বাপের বাড়ি যাবে বলেছিল মোমেনা। কিন্তু সাইফুদ্দিন রাজি ছিল না। রাত ১১ নাগাদ খাওয়া-দাওয়া করে সকলে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আড়াইটে নাগাদ সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য ঘুম থেকে ওঠে মোমেনা। সে সময়ে ফের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।

Advertisement

রাত ৩টে নাগাদ সাইফুদ্দিন বাথরুমে গিয়ে বিদ্যুতের তারে একটি লোহার রড জড়ায়। মিনিট পনেরো বাদে সেখান থেকে এসে হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় পর পর তিনবার ঘা মারে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বিদ্যুতের তার স্ত্রীর গায়ে জড়িয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোমেনার।

সন্তানকে মারতে না চাইলেও মায়ের কোলে থাকার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারও মৃত্যু হয়। এর আগে সাইফুদ্দিনের মা ও প্রথম স্ত্রীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাইফুদ্দিনকে বুধবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement