POCSO Case

মাংস-ভাতের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ‘কুকীর্তি’! নরেন্দ্রপুরে ধৃত যুবক

অভিযোগ, নাবালিকা যাতে চিৎকার করতে না পারে, তার জন্য তার মুখ বেঁধে দেন অভিযুক্ত। শারীরিক অত্যাচারে নাবালিকার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তারও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ১৭:০৫
Share:

পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। বুধবার ধৃতকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। —ফাইল চিত্র।

মাংস-ভাত খাওয়ানোর নাম করে বাড়িতে এসে দশ বছরের এক নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক প্রতিবেশী। তার পর তাকে বাড়ি লাগোয়া ঝোপে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার ঘটনা। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম শঙ্কর হালদার। ৩৫ বছরের ওই যুবকের বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। মঙ্গলবার ১০ বছরের প্রতিবেশী নাবালিকাকে মাংস-ভাত খাওয়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান ওই যুবক। অভিযোগ, এর পর নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি নির্জন জায়গায়। ঘণ্টাখানেক ধরে নাবালিকার উপর চলে শারীরিক অত্যাচার। অভিযোগ, নাবালিকা যাতে চিৎকার করতে না পারে, তার জন্য তার মুখ বেঁধে দেন অভিযুক্ত। শারীরিক অত্যাচারে নাবালিকার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। সেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। পরে স্থানীয় কয়েক জন অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন। তাঁকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশ।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার এ নিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। বুধবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement