অস্বাস্থ্যকর: বারাসত দমকল কেন্দ্রের কাছে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে জমে রয়েছে আবর্জনা। রবিবার। ছবি: সুদীপ ঘোষ
এক সপ্তাহ কেটে গেলেও ভাগাড় সমস্যার সুরাহা হল না। জেলা সদর বারাসতের বেশির ভাগ এলাকায় জঞ্জাল তোলা বন্ধ। কোথাও কোথাও জঞ্জাল তোলা হলেও তা ফেলা হচ্ছে শহরের আনাচে-কানাচে। ভ্যাট উপচে পড়ছে পচা জঞ্জালে। পুরসভার গাড়ি না আসায় সাধারণ নাগরিকেরা পড়েছেন মহা সমস্যায়। উপায়ান্তর না দেখে তাঁরাও রাস্তাঘাটে ফেলছেন জঞ্জাল। অভিযোগ, তার ফলে বিষিয়ে উঠছে শহরের পরিবেশ। কোনও কোনও এলাকায় অবস্থা এতটাই খারাপ যে, দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করা দায় হয়ে উঠেছে।
বারাসত শহর লাগোয়া কদম্বগাছি পঞ্চায়েত এলাকার কুবেরপুর-পিরগাছিতে জঞ্জাল ফেলে বারাসত পুরসভা। সেখানে জমি কিনে ভাগাড় তৈরি করে পুরসভা। বছর দশেক ধরে সেখানেই জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে। সমস্যা শুরু হয় বছর দুয়েক আগে। এলাকার চাষিদের অভিযোগ, ভাগাড়ের জঞ্জালে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। উর্বরতা হারাচ্ছে চাষের জমি। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভাকে বার বার জানানোর পরেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।
বারাসত শহরের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্টেডিয়াম, বারাসত সদর হাসপাতালের ধারে পুরসভার ট্রাক্টর জঞ্জাল ফেলে রাখছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সরকারি অফিসের দেওয়ালের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে জঞ্জাল। সব থেকে খারাপ অবস্থা শহরের বাজারগুলিতে। সাত দিন ধরে কোনও বাজার থেকে জঞ্জাল তোলা হচ্ছে না। ফলে সেগুলি পচে গন্ধ ছড়াচ্ছে। শহরের হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা সুরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “শুধু বাজার কেন, রাস্তাঘাট, ভ্যাট— কোথাও থেকে জঞ্জাল তোলা হচ্ছে না। পুর সাফাইকর্মীরা আগে রোজ বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করতেন। এখন তা অনিয়মিত। জঞ্জাল তো আর বাড়িতে মজুত করা যাচ্ছে না। তার ফলে যে যেখানে পারছেন, জঞ্জাল ফেলছেন। জানি না কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে!”
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।”