প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক বার ক্ষমতায় এ দল, তো পরের বার অন্য দল!
২০০৮ থেকে ‘কেরল মডেল’-এ ভোট হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজ়ারগঞ্জ পঞ্চায়েতে। সেই ধারা মেনে এ বার তৃণমূলকে হটিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। অন্তত ভোটের ফল তা-ই বলছে। কিন্তু গুঞ্জন অন্য রকম। তাতে ধাক্কা খেতে পারে ‘কেরল মডেল’।
দক্ষিণের রাজ্যটিতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বিধানসভা নির্বাচনে পাল্টে যায় শাসক দল। সেই রকমই ২০০৮ সালে, ফ্রেজ়ারগঞ্জ পঞ্চায়েত দখল করেছিল কংগ্রেস। ২০১৩-তে ক্ষমতায় আসে বাম-কংগ্রেস জোট। ২০১৮-তে তৃণমূল। এ বার ২০ আসনের ওই পঞ্চায়েতে ১২টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল সাতটি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জিতেছে।
কিন্তু জিতেও স্বস্তিতে নেই বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা মুখে দাবি করছেন, তাঁরাই পঞ্চায়েত বোর্ড গড়ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃণমূল তাঁদের জয়ী প্রার্থীদের ভাঙিয়ে নিতে পারে, এই আশঙ্কাও উত্তরোত্তর বাড়ছে বিজেপি নেতৃত্বের। স্থানীয় বিজেপি নেতা বারেন্দ্রনাথ দাসের দাবি, ‘‘তৃণমূল আমাদের জয়ী প্রার্থীদের টাকা ও চাকরির প্রলোভন দেখাচ্ছে। আমাদের কেউ প্রলোভনে পা দেবেন না।’’
ফ্রেজ়ারগঞ্জ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে হলে তৃণমূলের আরও চার জন সদস্যের প্রযোজন। হারলেও এক তৃণমূল নেতার দাবি, ‘‘আমরাই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করব সময় হলে।’’ কী ভাবে? সে প্রশ্নের উত্তর দেননি ওই নেতা। তবে, শ্রীমন্ত মালি নামে আর এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘আমরা কাউকে ভাঙাব না। কেউ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতে চান, তা হলে ভাবনাচিন্তা করে দলে নেব। পরে ভাবা যাবে আমরা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করব কি না।’’
এই এলাকায় শিক্ষিতের হার প্রায় ৭০ শতাংশ। অনেকেই ব্যবসা করেন। মৎস্যজীবীদের সংখ্যাও অনেক। ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে কম লোকই যান। কয়েক বছরের ভোটের ফল দেখে স্থানীয়দের দাবি, কেরলের মতো রাজ্যের সঙ্গে এখানকার ভোট-চিত্রও মিলে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ‘কেরল মডেল’ থাকবে কি ?