প্রতীকী চিত্র।
সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভুয়ো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছিলেন না। শুক্রবার বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে সৌকিল চট্টোপাধ্যায় (৫৮) নামে সেই প্রৌঢ়ের। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকার চম্পাহাটির খ্রিস্টানপাড়ায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে, ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হওয়ার উদ্দেশ্যে স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে বিষ খেয়েছিলেন। সৌকিলকে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রী পূর্ণিমা ও ছেলে দিগন্তের চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, টাকা শোধ করতে না পারার কারণেই এই আত্মহত্যা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের যাদবপুর শাখায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন সৌকিল। তাঁর ছেলে দিগন্ত পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এ দিন হাসপাতালে শুয়ে দিগন্ত বলেন, ‘‘সকালে আমাকে ও মাকে বিষ খেতে বলে বাবা নিজেও খেয়ে নেয়।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বেশ কিছু পাওনাদার সৌকিলের বাড়ির দরজায় ভিড় করেছিলেন। অনেক ক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় তাঁদের সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীরাও এসে হাজির হন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভগবান অধিকারী বলেন, ‘‘সৌকিল ফোন করে এ দিন সকালে আসতে বলেছিলেন আমাদের। সব মিলিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। ২০১৭ সালে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ২৫ জনের থেকে ৬০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। কেউই চাকরি পাননি।’’
হর্ষ সর্দার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘মোট দশ জনকে চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে ২০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সৌকিল।’’ সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।