নদীর পাড়ে বাঘের থাবার ছাপ এবং খাঁড়ি পেরিয়ে যাচ্ছে বাঘ। নিজস্ব চিত্র।
সাত সকালেই পায়ের ছাপ নদীর পাড়ে দেখা গিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পরে গ্রামের নদীবাঁধ লাগোয়া বাদাবনে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বাঘের দর্শনও পাওয়া গেল।
ফের সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল। কুলতলির ডোঙাজোড়ার পরে এ বার গোসাবা ব্লকের লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চরঘেরিতে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রাম লাগোয়া নদীর পাড়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। খবর পেয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সজনেখালি রেঞ্জ থেকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। নদীবাঁধ লাগোয়া বাদাবনে সন্ধান চালানোর সময় হঠাৎ বাঘটিকে একটি সরু খাঁড়ি পেরোতে দেখা যায়।
গ্রামবাসীদের অনুমান, ঝিলার জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে এসে বাঘটি ঢুকে পড়েছে চরঘেরিতে। ইতিমধ্যেই এলাকাটি জাল দিয়ে ঘিরে ‘বাঘবন্দির’ চেষ্টা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে কুলতলির পিয়ালি-ডোঙাজোড়া এলাকায় একটি বাঘ ঢুকে পড়েছিল। ছ’দিনের চেষ্টায় ঘুমপাড়ানি গুলির সাহায্যে সেটিকে ধরে জঙ্গলে ছেড়ে দেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ।
বন্যপ্রাণপ্রেমী সংগঠন ‘শের’-এর কর্ণধার তথা রাজ্য বন্যপ্রাণ উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য জয়দীপ কুণ্ডু বলেন, ‘‘সুন্দরবনের অন্য এলাকাগুলির মতোই চরঘেরিতেও গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের অংশ নাইলনের জাল বসানো রয়েছে। কোনও ভাবে খাঁড়িতে নেমে জাল এড়িয়ে সম্ভবত বাঘটি গ্রামে ঢুকে পড়েছে। বন দফতরের তরফে ওই এলাকায় ধারাবাহিক জনসচেতনতা কর্মসূচি চলে। ফলে অযথা আতঙ্ক ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। গ্রামটি গ্রামে গেলে নিশ্চিত ভাবেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’’