ঠাকুরান নদীর পাড়ে বাঘের পায়ের ছাপ। ছবি: সংগৃহীত।
কুলতলির পর এ বার বাঘের আতঙ্ক রায়দিঘিতে। শুক্রবার সকালে লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপ মেলায় আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতের দমকলের কাছে শুক্রবার সকালে ঠাকুরান নদীর পাড়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বনকর্মীরা এসে বাঘের খোঁজ শুরু করেন। তবে ততক্ষণে বাঘ ওই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে পায়ের ছাপ দেখে অনুমান বনকর্মীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও কয়েক বার বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছিল এই এলাকায়। শুক্রবার সকালে বাঘের পায়ের ছাপ মেলার খবর পেয়েই রায়দিঘির রেঞ্জার স্বপন মন্ডলের নেতৃত্বে নলগোড়া বিট অফিসের বনকর্মীরা অভিযান শুরু করেন। প্রথমে জোয়ার থাকায় বাঘের পায়ের ছাপ স্পষ্ট করে বুঝতে পারেননি তাঁরা। ভাটা হতেই নদীর চরে স্পষ্ট হয় বাঘের উপস্থিতির ‘প্রমাণ’।
বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, আজমলমারির ১২ নম্বর কম্পার্টমেন্টের জঙ্গল থেকে বাঘটি বেরিয়ে নদী পার হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। পরে জোয়ারের সময় এলাকা ছেড়ে ঠাকুরানের চরের নতুন জঙ্গলের দিকে যাত্রা শুরু করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন, দমকল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে সেখানে বাঘের হদিস পাননি বনকর্মীরা। তবে ঠাকুরানের চরের নতুন জঙ্গলে বাঘটি আশ্রয় নিয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে নজরদারি শুরু হয়েছে। বাঘের সন্ধানে পাথরপ্রতিমার সুরেন্দ্রনগর এলাকাতেও অভিযান চলছে।