বসিরহাটে ধৃত বাংলাদেশি-সহ ৫ জন দুষ্কৃতী

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মোমতাজুল গাজি বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা। মহম্মদ সামিন, ওবেশ খান এবং ফরমান খান নামে তিন দুষ্কৃতীর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মজফ্ফরপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০১:১৪
Share:

ধৃত: আদালতের পথে দুষ্কৃতীরা। নিজস্ব চিত্র

গাড়ি করে ডাকাতি করতে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক বাংলাদেশি-সহ পাঁচ সশস্ত্র দুষ্কৃতী। রবিবার রাতে বসিরহাটের খোলাপোতার কাছে রাহারহাটি থেকে তাদের ধরা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মোমতাজুল গাজি বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা। মহম্মদ সামিন, ওবেশ খান এবং ফরমান খান নামে তিন দুষ্কৃতীর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মজফ্ফরপুরে। পঞ্চম জন সাহিন মণ্ডল বসিরহাটেরই সীমান্তবর্তী গাছা গ্রামের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কয়েকটি ছুরি এবং ভোজালি উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। ধৃতদের সোমবার বসিরহাট এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

সম্প্রতি রাজ্য গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে মনোতোষ দে নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ী। সে বসিরহাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, তার সঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। মনোতোষের দু’টি বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্রও উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকেই বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। বিশেষ করে খোলাপোতা এবং ইটিন্ডার গ্রামগুলিতে পুলিশ ও গোয়েন্দা দু’পক্ষই তল্লাশি চালাচ্ছে।

Advertisement

সেই তল্লাশির সময়েই রবিবার রাহারহাটিতে টাকি রোডের পাশে ওই পাঁচ দুষ্কৃতীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা রাহারহাটিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনার কথা কবুল করেছে। পাঁচ জনের মধ্যে সাহিনকে মাসছয়েক আগেও ডাকাতির মামলায় বাদুড়িয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সাহিন মাঝেমধ্যেই মুম্বই যেত। তার বাড়িতেই পরিচয় গোপন করে থাকত বাংলাদেশের মোমতাজুল। সাহিনের বাবাকে নিজের ‘বাবা’ পরিচয় দিয়ে মোমতাজুল এ দেশের পরিচয়পত্রও তৈরি করেছিল। এই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement