অধীর চৌধুরী। —ফাইল ছবি।
রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না-করে ডিভিসি জল ছেড়ে দেওয়ার কারণেই বাংলায় বিপর্যয় হয়েছে, এই অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসি-র কমিটি থেকে রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিনিধিরা সরে এসেছেন। আবার সেচ দফতরেরই নথি প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে ৮টি জেলার প্রশাসনকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে ডিভিসি জল ছাড়তে বলে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। এমতাবস্থায় ‘প্রকৃত সত্য’ কী, তা উদঘাটনের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থের মামলা হতে চলেছে কংগ্রেসের তরফে। আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে ধর্মতলায় দলের দু’দিনের অবস্থান কর্মসূচি থেকেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার। সেই অনুসারেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অধীর শুক্রবার বলেছেন, ‘‘শুধু বাংলা বলে নয়, সব জায়গাতেই বাঁধের জল ছাড়া ও জল ভাগের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। ডিভিসি সেই প্রক্রিয়া মেনেই চলে। এক দিকে রাজ্যের একটি দফতরের চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, ডিভিসি-র জল ছাড়ার কথা প্রশাসন জানতো। আবার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, না-জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে। এর সঙ্গে এত মানুষের স্বার্থ জড়িত, তাই সকলেরই সত্য জানা উচিত।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা রাজ্যের বিপক্ষে বা ডিভিসি-র বিপক্ষে, বিষয়টা এমন নয়। আলোচনা না-করে ডিভিসি যদি সত্যিই ইচ্ছামতো জল ছেড়ে মানুষকে ডুবিয়ে থাকে, তা হলে রাজ্যেরই উচিত আদালতে যাওয়া!’’ রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া অবশ্য ইতিমধ্যেই বলেছেন, প্রথমেই আইনি পথ নয়, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সমাধান চেয়েছেন।