ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন এবং দিবাকর গায়েন (বাঁ দিক থেকে)। — নিজস্ব চিত্র।
বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর পাঁচ জনের। এমনটাই দাবি পরিবারগুলির সদস্যদের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিন ভাইও। তাঁরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। এ ছাড়া জেলার আরও কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে ওই ট্রেন দুর্ঘটনায়।
তিন ভাই হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন এবং দিবাকর গায়েন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা দিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানে ধান চাষের কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এর আগেও একাধিক বার তাঁরা গিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশে। কিন্তু শুক্রবার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বাসন্তীর ছড়ানেখালি গ্রামের বাসিন্দা ওই তিন ভাইয়ের। এ ছাড়া আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের নাম বিকাশ হালদার এবং সঞ্জয় হালদার।
বারুইপুর থানা এলাকার ধপধপি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মল্লিকপুরের তরুণ সৌরভ রায় যাত্রী ছিলেন ওই ট্রেনের। তাঁর মৃত্যু হয়েছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ডায়মন্ডহারবার মহকুমার ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মগরাহাট ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা দুই যাত্রীর মধ্যে আসিক গাজি নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিনের প্রাণ গিয়েছে ট্রেন দুর্ঘটনায়।