Fishermen of Sundarbans

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দফতরে বিক্ষোভ মৎস্যজীবীদের

কয়েক দিন আগেও ব্যাঘ্র প্রকল্পের দফতরে আন্দোলন করেছিলেন সুন্দরবন মৎস্যজীবী রক্ষা কমিটির সদস্যেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৯
Share:

বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।

সুন্দরবনের নদী-খাঁড়িতে মাছ বা কাঁকড়া ধরার স্থায়ী অনুমতিপত্রের দাবিতে সোমবার সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন একদল মৎস্যজীবী। তাঁরা জোর করে অফিসে ঢোকার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ আসে। পরে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মৎস্যজীবীদের কয়েক জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন দফতরের আধিকারিকেরা।

Advertisement

ওই মৎস্যজীবীদের দাবি, সুন্দরবনের নদী-খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরার উপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বন দফতর। অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই মৎস্যজীবীদের জাল, নৌকা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, মাছ-কাঁকড়া ধরার অনুমতিপত্র (বিএলসি) বাতিল করে দিতে চাইছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। স্থায়ী বিএলসি-র বদলে অস্থায়ী বিএলসি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

কয়েক দিন আগেও ব্যাঘ্র প্রকল্পের দফতরে আন্দোলন করেছিলেন সুন্দরবন মৎস্যজীবী রক্ষা কমিটির সদস্যেরা। তখনও মৎস্যজীবীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন আধিকারিকরা। সোমবার বিএলসি নবীকরণের জন্য মৎস্যজীবীরা এলে তাঁদের অস্থায়ী বিএলসি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তখনই তাঁরা প্রতিবাদ করেন। শেষ পর্যন্ত বৈঠকের পর চলতি মরসুমের জন্য স্বাভাবিক বিএলসি দেওয়ার কথা দফতরের আধিকারিকেরা জানান বলে মৎস্যজীবীদের দাবি।

Advertisement

মৎস্যজীবী গণেশ মণ্ডল, আরাফ পিয়াদারা বলেন, “আমরা সুন্দরবনের নদী-খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরেই জীবিকা নির্বাহ করি। বছরের পর বছর বিএলসি নিয়েই মাছ ধরতে যাই। এ বার আমাদের বিএলসি জমা নিয়ে অস্থায়ী বিএলসি দিচ্ছে। পুরনো বিএলসি বাতিল করতে চাইছে ব্যাঘ্র প্রকল্প। তাই আন্দোলনে নেমেছি।”

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “যাঁদের বিএলসি রয়েছে, তাঁদের অনেকেই মৎস্যজীবী নন। বিএলসি মোটা টাকায় ভাড়া খাটানো হচ্ছে। এই সব বিএলসি বাতিল করে, যাঁরা প্রকৃত মৎস্যজীবী তাঁদের বিএলসি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement