ধরা পড়া ইলিশ। ছবি: দিলীপ নস্কর
মরসুম পেরিয়ে হঠাৎই জালে উঠল প্রচুর ইলিশ। মঙ্গলবার ইলিশ নিয়ে বেশ কিছু ট্রলার ফিরেছে কাকদ্বীপের ঘাটে।
মৎস্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলিশের মূল মরসুম চলে ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে এক একটি ট্রলার যায় সমুদ্রে। এমনিতেই ইয়াসের ফলে বেশ কিছু ট্রলার ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সে সব সারাতে ট্রলার মালিকের প্রচুর খরচ হয়। এ দিকে, জালে ইলিশ তেমন ওঠেনি এ বার। লোকসানের বহর কমাতে অনেক ট্রলার এই মরসুমে সমুদ্রে যায়নি। গত কয়েক বছর ধরেই চলছে এই পরিস্থিতি। অনেকে পেশা
বদলের কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন।
তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৩৫-৪০টি ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে প্রচুর ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। তাতে আশার আলো দেখছেন মৎস্যজীবীরা। কাকদ্বীপ ফিসারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘৬৫-৭০ টন ইলিশ নিয়ে ট্রলারগুলি ঘাটে ফিরেছে। এক একটি ইলিশের ওজন ৫০০-৭০০ গ্রাম। ইলিশ মাছগুলি একটু লম্বাটে চেহারার। যার পাইকারি দর কিলো প্রতি ৫০০-৬০০ টাকার মধ্যে। তবে বর্ষার ইলিশের মতো স্বাদ হবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না।’’ ‘অফ সিজনে’ এত ইলিশ কখনও ধরা পড়েছে কিনা, মনে করতে পারেন না বিজন। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণেই আচমকা এত ইলিশ ধরা পড়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
তবে ইলিশের আশায় আপাতত নতুন করে কোনও ট্রলার সমুদ্রে যাবে না বলেই তাঁর মত। কারণ, প্রায় সব ট্রলারই ঘাটে তুলে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া শ্রমিকেরাও এতদিনে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানালেন বিজন।