নিজস্ব চিত্র
কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে মাঝে কয়েক মাস জেলে ছিলেন হিসাবরক্ষক। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও কলেজে ঢুকতে পারেননি তিনি। স্টাফ রুমে ওই হিসাবরক্ষকের আলমারি থেকে দরকারি কাগজপত্র বার করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ কলেককর্মীদের। আলমারির ভিতর একটি আগ্নেয়াস্ত্র। সঙ্গে চার রাউন্ড কার্তুজ। খবর পেয়েই আবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন অধ্যক্ষ।
শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। অধ্যক্ষ অর্ণব ঘোষ ওই কলেজেরই হিসাবরক্ষক রণপতি রায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অর্ণবের অভিযোগ, হিসাবরক্ষক রণপতির আলমারি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর দাবি, ওই আগ্নেয়াস্ত্র রণপতিরই।
অধ্যক্ষের দাবি, মাস কয়েক আগে রণপতির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করারও চেষ্টা করা হয়। সেই সময় তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জেলে পাঠানো হয়েছিল হিসাবরক্ষককে। সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। যদিও রণপতিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেই জানান অর্ণব।
কলেজের লকার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে চৌবেরিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপন হাজরা বলেন, ‘‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ বা কোথাও লুকিয়ে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। দোষীকে গ্রেফতার করে সাজা দেওয়া হোক।’’