দে-দৌড়: ভয়ে খালি হাসপাতালের ওয়ার্ড। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগুন লাগলে যে কী ভয়ঙ্কর অবস্থা হতে পারে, তার প্রমাণ মিলল দেগঙ্গায়।
কর্মী ও রোগীর খাবার তৈরি করতে গিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রান্নাঘরে আগুন লাগে। একদিনের সদ্যোজাত সন্তান এবং তাঁর মাকে রক্ষা করেন রোগীর পরিজনেরাই। ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীকে হাতের স্যালাইন খুলে দৌড়তে দেখা যায়। যদিও স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় বড়সড় ঘটনা থেকে রেহাই পান রোগীরা।
দেগঙ্গার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ক্যান্টিনের রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘শান্তি’ নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। সোমবার সন্ধ্যায় রাতের খাবার তৈরি করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে আগুন ধরে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারা ঘরে। রান্নার দায়িত্বে থাকা সুলতা পাল বলেন, ‘‘আমরা তিনজন আনাজ কাটার পরে গ্যাস ধরাতে গেলে হঠাৎই আগুন ধরে যায় পাইপে। ভয়ে আমরা বাইরে বেরিয়ে খবর দিই।’’
সোনামনি বিবি নামে এক প্রসুতি বলেন, ‘‘একদিনের বাচ্চা নিয়ে শুয়েছিলাম। নার্সদিদি বললেন, হাসপাতালে আগুন লেগেছে। বাচ্চা নিয়ে বাইরে পালাও। আমি ভয়ে এই অসুস্থ অবস্থায় বাইরে চলে এলাম।’’ ডায়েরিয়া আক্রান্ত কবিরুল ইসলামের স্যালাইন চলছিল। তিনি বলেন, ‘‘ওয়ার্ডের কর্মী এসে স্যালাইন পাইপ খুলে দিয়ে বলল, বাইরে চলে যেতে। ভয়ে পালাই।’’ স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন, ‘‘হাসপাতালের সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। দেখলাম, হাসপাতালের সকলে ছোটাছুটি করছেন। স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে হাসপাতালের অগ্নি নিবার্পণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।’’ খবর পেয়ে বারাসত থেকে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। দমকলের আধিকারিক চন্দন সিংহ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘গ্যাসের পাইপ সময় মতো না পাল্টানোয় এমন ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ মানুষ এগিয়ে না এলে বড়ো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’’