আগুন নেভাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে দমকল বাহিনী। তারা পুলিশে অভিযোগ জানাবে বলে জানিয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
দিন সাতেক আগে হোটেল ঘরে প্রেমিকের হাতে প্রেমিকার খুনের অভিযোগ ওঠে। বুধবার সকালে সেই হোটেল ঘরই পুড়ে খাক হল। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের জেঠিয়ায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে একটি বহুতল হোটেলে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। যদিও আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৫ শে জানুয়ারি এক যুগল উঠেছিলেন ওই হোটেলে। তাঁরা ছিলেন ১০৫ নম্বর ঘরে। সেখানে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয় তরুণীর। প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট হোটেল ঘর সিল করে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার সেই সিল করা ঘরেই কী ভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। ১০৫ নম্বর ঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঘরগুলিতেও। বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কী ভাবে পুলিশের সিল করা ঘরে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের তদন্ত করতে চাইছে পুলিশ। তবে আপাতত এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। অন্য দিকে, হোটেলমালিক নুর আলমের দাবি, ‘‘পুলিশ ঘরটি সিল করে দিয়েছিল। কিন্তু ৭ দিন ধরে টানা আলো-পাখা, গিজার ইত্যাদি চলছিল। সেখান থেকেই শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লেগেছে।
অন্য দিকে, এত বড় হোটেলে ‘ফায়ার প্রোটেকশন’ না থাকায় আগুন নেভাতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দমকল বাহিনীর অফিসার প্রশান্ত সরকার। তিনি জানান, ওই হোটেলের ‘ফায়ার লাইসেন্স’ চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে দমকলের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।