সোনারপুরে বাজি কারখানায় আগুন

চরকি তৈরির সময়ে আগুনে পুড়ে গেল একটি বাজি কারখানা। মঙ্গলবার, সোনারপুরের গোবিন্দপুরে। পুলিশ জানায়, শ্রমিকেরা কোনও রকমে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচলেও কারখানার পাশের ঘরে বেঁধে রাখা তিনটি বিদেশি কুকুর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩১
Share:

চরকি তৈরির সময়ে আগুনে পুড়ে গেল একটি বাজি কারখানা। মঙ্গলবার, সোনারপুরের গোবিন্দপুরে। পুলিশ জানায়, শ্রমিকেরা কোনও রকমে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচলেও কারখানার পাশের ঘরে বেঁধে রাখা তিনটি বিদেশি কুকুর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছে আধ ঘণ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, কারখানার মালিক তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় গোবিন্দপুরেরই বাসিন্দা। বাড়ির উল্টো দিকে তিনটি ঘর নিয়ে কারখানাটি চালাতেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী তরুণবাবু। তিনি জানান, এ দিন চরকি তৈরি হচ্ছিল। তখনই আগুন ধরে যায়। আগুন লাগে ওই ঘরে রাখা বাকি আতসবাজিতেও। কয়েক ঘণ্টা ধরে দেদার বাজি ফাটতে থাকে বলে জানান তরুণবাবু। পুলিশের অনুমান, চরকি তৈরির সময়ে কোনও শ্রমিকের বিড়ি থেকেই অতিদাহ্য আতসবাজিতে আগুন ধরে গিয়েছিল।

পুলিশ জানায়, কারখানার ভিতরে কিছু দূরে আরও দু’টি ঘরেও বাজি মজুত ছিল। তবে সেখানে আগুন ছড়ায়নি। ওই ঘরে আগুন ধরে গেলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হত বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাসিন্দারাই জানান, শ্রমিক ছাড়া অন্য কেউ যাতে কারখানায় ঢুকতে না পারেন, তাই ওই তিনটি বড় বিদেশি কুকুর বেঁধে রাখতেন তরুণবাবু। বাসিন্দারা উঁকিঝুকি মারার চেষ্টা করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, ঘিঞ্জি এলাকায় অবৈধ ওই কারখানাটি চালাচ্ছিলেন তরুণবাবু। সেখানে চকোলেট বোমা তৈরি হত। স্থানীয় থানায় আগেও কারখানার বিষয়ে অভিযোগ করেন তাঁরা। তবে কোনও পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান বাসিন্দারা। ঘটনার পরে কারখানাটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। সোনারপুর ও বারুইপুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, কারখানাটির লাইসেন্স রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই তরুণবাবু সপরিবার বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। কারখানার কয়েক জন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। কারখানা লাগোয়া একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ঘটনার পরে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement