প্রতীকী ছবি।
নিজের বড় মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে, বজবজ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। রাতে বজবজ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রেফতার করা হয় বাবাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বাবলু দাস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিবাহিত বড় মেয়ে, বজবজ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনন্দা দাসের উপরে এই হামলা চালায় বাবলু। সুনন্দার বাবা-মায়ের বাড়ি মহেশতলা থানা এলাকার হেতালখালিতে। অভিযোগ, ব্যক্তিগত কাজে বজবজ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে যাওয়ার সময়ে তাঁর মাথায় এবং কাঁধে চপার দিয়ে কোপ মারে তাঁর বাবা। ওই সময়ে সুনন্দার পরিচিত এক মহিলা বাবলুকে বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করা হয় বলে দাবি। জখম সুনন্দাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। রাতে তিনিই বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে সুনন্দার মা ও ছোট বোন তাঁর বাড়িতে চলে এসেছেন। সম্ভবত সেই প্রতিহিংসায় সুনন্দার উপরে চপার নিয়ে হামলা করে বাবলু। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে সুনন্দার ছোট বোনকে বাবা কুরুচিকর মন্তব্য করেন। বাবার উপরে রাগ করে ছোট বোন বাড়ি ছেড়ে দিদির বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। শনিবার সকালে স্ত্রীর সঙ্গেও বাবলুর অশান্তি হয়। এর পর তিনিও সুনন্দার বাড়িতে চলে যান। অভিযোগ, মা ও বোনকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সুনন্দাকে কয়েক বার মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল বাবলু।
তদন্তকারীরা জানান, অধিকাংশ সময়েই মত্ত অবস্থায় থাকে বাবলু। ঘটনার দিন চপার হাতে নিয়ে সুনন্দার পিছু নিয়েছিল সে। সুযোগ বুঝে বজবজ স্টেশনের কাছে মেয়ের উপরে হামলা চালায়। বাবলুর কাছ থেকে চপারটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।