কেউ কেউ ভিডিয়ো করেছিলেন। সেটা দেখে বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি থেকে টাকা চুরি করেছে নাবালক ছেলে। এই সন্দেহে তাকে শাসন করেছিলেন বাবা। ছেলে কিছুতেই স্বীকার করেনি যে, সে টাকা নিয়েছে। রাগে তার পা ধরে ছাদে ঝুলিয়ে রাখলেন বাবা। শুক্রবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোপালনগর থানার দিঘারী গ্রামে। ছেলের চিৎকারে জড়ো হয়ে যান প্রতিবেশীরা। বাবার কাণ্ড দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। এর পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দিঘারী গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকারের বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হতেই তাঁদের চোখ কপালে ওঠে। দেখেন এক তলার ছাদ থেকে নাবালক পুত্রের পা বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাবা। কারণ জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ছেলে বাড়ি থেকে টাকা চুরি করেছে। তাই এমন শাসন। বছর এগারোর বিশাল সরকার তখন কেঁদেকেটে একশা। সে বাবাকে অনুরোধ করছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। জানায় শারীরিক ভাবে কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু একাধিক বার কাকুতি-মিনতি করলেও বাবা তা কানেই তোলেননি। ওই ভাবে ঝুলিয়ে রাখেন ছেলেকে।
বিশ্বজিৎকে প্রতিবেশীরাও আবেদন করেন। জানান, বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। কিন্তু তাতেও তিনি শোনেননি। এর পর পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ যখন পৌঁছয়, তত ক্ষণে অবশ্য ছেলেকে নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কেউ কেউ ভিডিয়ো করেছিলেন। সেটা দেখে বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।