Death

কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুতে গ্রেফতার বাবা, ফিক্সড ডিপোজিটের টাকার লোভে মেয়েকে খুন?

গত মঙ্গলবার গড়িয়ার কালীতলার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুদেষ্ণা নস্কর নামে ১৮ বছর বয়সি এক কলেজ ছাত্রীর দেহ। বছরখানেক আগে সুদেষ্ণার মায়েরও অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪১
Share:

ধৃত অবিনাশ নস্কর। — নিজস্ব চিত্র।

বাড়ি থেকে এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার গড়িয়ার কালীতলা এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতের মামার অভিযোগ, ফিক্সড ডিপোজিটের টাকার লোভেই মেয়েকে খুন করেছেন বাবা। ধৃতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতকে আপাতত তিন দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম অবিনাশ নস্কর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার গড়িয়ার কালীতলার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুদেষ্ণা নস্কর নামে ১৮ বছর বয়সি এক কলেজ ছাত্রীর দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ নিয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ স্বতপ্রণোদিত হয়ে আত্মহত্যার একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল। এর পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মৃত ছাত্রীর বাবা অবিনাশ নস্করকে।

বছরখানেক আগে সুদেষ্ণার মা বৃহস্পতি নস্করেরও অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। সুদেষ্ণার মাসি মিঠু মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘টাকার লোভেই সুদেষ্ণাকে খুন করা হয়েছে। ওর মাকেও আগে মেরে ফেলেছিল অবিনাশ। আমি চাই ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’’ সুদেষ্ণার আত্মীয়দের অভিযোগ, অবিনাশের সঙ্গে অন্য এক মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মা এবং মেয়ের নামে কিছু টাকা ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করা ছিল। সেই টাকা হাতানোর লক্ষ্যেই প্রথমে মা এবং পরে মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ সুদেষ্ণার মামারবাড়ির লোকজনের।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুদেষ্ণা আত্মহত্যা করেছেন। এ নিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মকসুদ বলেন, ‘‘লিখিত ভাবে খুনের কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতের বাবাকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement