ঝড়ের তাণ্ডবে নষ্ট হয়েছে ধান, নহাটায়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক Sourced by the ABP
শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন গাইঘাটা ব্লকের চাষিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে এখানে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চাষিরা জানিয়েছেন, তিল, ফুল, ধান, পাট, পটল, ভুট্টার ক্ষতি হয়েছে।
গাইঘাটার বিষ্ণুপুর এলাকার চাষি প্রদীপ মণ্ডল ৮ বিঘে জমিতে ফুল, তিল, পাট, কুমড়ো চাষ করেছিলেন। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর। প্রদীপের কথায়, ‘‘খেতে পাটের কোনও ডগা নেই। সব সমান হয়ে গিয়েছে। কুমড়ো গাছ দলা পাকিয়ে গিয়েছে। গোড়া থেকে গাছ উঠে গিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, প্রতি বিঘে জমিতে চাষ করতে খরচ হয়েছিল গড়ে ১৫ হাজার টাকা। পুরোটাই লোকসান হল।ঠাকুরনগরের চাষি অনুপ মণ্ডল ১০ বিঘে জমিতে ফুল, পটল, আনাজ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল চাষে। ঝড়ে সব শেষ হয়ে গেল।’’ গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস জানান, ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে ব্লকের চাষে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছিল। বাকি ৭০ শতাংশ ধান মাঠে ছিল। সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তিল চাষ আর হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
একই পরিস্থিতি দেগঙ্গা, বারাসত ১ ও আমডাঙা ব্লকে। খেতে ধান ও পাট নুইয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকায়। ভেঙেছে টমেটো, উচ্ছে, পটল, ঝিঙের মাচা। বারাসত ১ ব্লকের চাষি মন্টু মণ্ডল বলেন, ‘‘টমেটোর ক্ষতি হয়েছে সব থেকে বেশি। পটল, ঝিঙের মাচা ভেঙেছে । ঠিক করতে হবে আবার।’’ আমডাঙার চাষি আক্কাজ আলি বলেন, ‘‘ধান ও পাট গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। চলতি সপ্তাহে যদি ফের বেশি ঝড় বৃষ্টি হয়, তা হলে বিরাট ক্ষতি হবে।’’ ঝড়ে আম, কাঁঠাল গাছের ডাল ভেঙেছে ব্লকের বেশ কিছু জায়গায়। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খোঁজ করে দেখা হচ্ছে।