হাসপাতালে মিন্টু তরফদার। —নিজস্ব চিত্র।
নিজের চাষের জমিতে আল দিয়ে জল আটকে রেখেছিলেন পড়শি। সেই আল কাটতে গিয়ে ঝামেলা শুরু হয় দুই পড়শির মধ্যে। ঝামেলার গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, মারপিটের সময় রাগের বশে এক চাষির নাক কামড়ে নেন আরও এক জন। ঘটনার জেরে আহত চাষিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোপালনগরে মনোহরপুর গ্রামে চাষের জমিতে আল কাটা নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। গত দু’দিন ধরে ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’-এর জেরে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে এলাকার সমস্ত জমিতেই জল জমেছে। মনোহরপুর গ্রামের অন্য চাষিদের মতোই মিন্টু তরফদারের চাষের জমিও জলে ডুবে গিয়েছিল। অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে নিজের জমিতে গিয়ে মিন্টু দেখেন যে পাশের জমির মালিক অতুল্য মণ্ডল আল দিয়ে তাঁর জমির জল আটকে দিয়েছেন। ফলে মিন্টুর জমিতে জল আটকে তাঁর সর্ষে গাছ ডুবে গিয়েছে। সে জল বার করতে জমির আল কেটে দেন মিন্টু। এর পরই ঝামেলা শুরু হয়।
মিন্টুর দাবি, আল কাটার খবর পেয়ে অতুল্য ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা জমির পাশে রাস্তায় ফেলে তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। সে সময় তাঁর নাকও কামড়ে নেন অতুল্য। এর জেরে জখম হন মিন্টু। আহত মিন্টুকে তাঁর বাড়ির লোকজন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত মিন্টুর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের বেডে নাকে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় মিন্টু বলেন, ‘‘আমার জমি থেকে আল কেটে জল বার করার সময় অতুল্যর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়। মারামারির সময় আমাকে মাটিতে পে়ড়ে ফেলে নাক কামড়ে দেয় অতুল্য।’’
মঙ্গলবার অতুল্য ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মিন্টুর পরিবার। এর পর অতুল্যকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।