—প্রতীকী চিত্র।
পড়শির বাড়ির গাছের পাতা ঝড়ে নোংরা বাড়ির ছাদ! তা-ই নিয়ে গোলমাল। শিক্ষক-ব্যাঙ্ককর্মীর সেই বিবাদ গড়িয়েছিল থানা পর্যন্ত। ঘরের কাজ করা নিয়ে শাশুড়ি-বৌমার ঝগড়া। শাশুড়ির বিরুদ্ধে সেই বৌমা বধূ নির্যাতনের মামলাও ঠুকে দিয়েছিলেন। শেষমেশ উভয় ঘটনারই নিষ্পত্তি হল ‘পুলিশ বন্ধু’ শিবিরে। বিবাদ মেটার পর খানিক আফসোস করতেই দেখা গিয়েছিল ওই ব্যাঙ্ককর্মীকে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর আর ঘরের অশান্তি নিয়ে কোর্ট-কাছারি করতে রাজি হননি সেই বৌমাও।
শুধু এই দুই ঘটনাই নয়, প্রত্যন্ত গ্রামেগঞ্জে এ রকম ছোটখাটো অশান্তির অভিযোগের নিষ্পত্তিতে ‘দুয়ারে পুলিশ’ কর্মসূচি শুরু করল কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা। ধুবুলিয়া, নদিয়া, নবদ্বীপ, নাকাশিপাড়া এবং কালীগঞ্জ থানা এলাকা মিলিয়ে মোট ২১টি শিবির খোলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এতে সাফল্যও মিলছে। প্রচুর মানুষ আসছেন শিবিরে। কেউ লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছেন, কেউ আবার শুধু মৌখিক। তবে দু’ধরনের অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পুলিশ অফিসারেরা। তবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রবীণ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম নাগরিকদের অভিযোগ।
ধুবুলিয়া থানার এক অফিসার বলেন, ‘‘এই পুলিশি সহায়তা শিবিরের মাধ্যমে মানুষের সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিক পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জনতার দূরত্ব রয়েছে। সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে সাধারণ মানুষকে ভরসা জোগানোই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।’’
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ বলেন, ‘‘এটা কমিউনিটি পুলিশিং -এর একটি অংশ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তুলতে চাই আমরা। আইনি পরিষেবা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা ও জনসাধারণের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ তৈরির ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধিই লক্ষ্য।’’