মেলাকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয় রোজগার

নারিকেলা এলাকার বাসিন্দা প্রৌঢ় প্রদীপ চক্রবর্তী সারাবছর অপেক্ষা করেন ঠাকুরনগরের মতুয়া ধর্মমেলার জন্য। শাঁখার কারবার আছে তাঁর। রাস্তার পাশে দোকান পেতে বসেন মেলায়। বললেন, ‘‘বছরের এই সময়ে আমরা বাড়তি বেশ কিছু টাকা আয় করি।

Advertisement

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য ও সীমান্ত মৈত্র

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫০
Share:

চলছে বেচাকেনা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

নারিকেলা এলাকার বাসিন্দা প্রৌঢ় প্রদীপ চক্রবর্তী সারাবছর অপেক্ষা করেন ঠাকুরনগরের মতুয়া ধর্মমেলার জন্য। শাঁখার কারবার আছে তাঁর। রাস্তার পাশে দোকান পেতে বসেন মেলায়। বললেন, ‘‘বছরের এই সময়ে আমরা বাড়তি বেশ কিছু টাকা আয় করি। সে জন্যই অপেক্ষা।’’ স্থানীয় মানুষের সামনে রোজগারের বড় পথ খুলে যায় এই সময়ে। মেলা উপলক্ষে গোটা ঠাকুরনগর এলাকা জুড়ে বসেছে কয়েক হাজার দোকান। গ্রামীণ মেলার যাবতীয় পসরা নিয়ে হাজির হন রাজ্যের বাইরের ব্যবসায়ীরাও।

Advertisement

গোবরডাঙার অজয় দাস ডাঙ্কা বিক্রি করছিলেন। ভিড় উপচে পড়ছিল দোকানে। এ বারই প্রথম মেলায় দোকান দিলেন। শ’দেড়েক ডাঙ্কার এনেছিলেন। জানালেন, দু’দিনেই একশোর মতো বিক্রি হয়ে গিয়েছে। মুখে হাসি উপচে পড়ছে তাঁর। গাইঘাটার মানুষের প্রধান জীবিকা চাষবাস। তবে সকলেরই যে জমি আছে তা নয়। জমি ভাগে নিয়েও অনেকে চাষ করে। কেউ আবার খেতমজুরি করে সংসার চালান। গত বছর বর্ষায় গাইঘাটার বিস্তীর্ণ এলাকায় ফসলের খেত জলের তলায় চলে গিয়েছিল। আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন বহু মানুষ। পরিতোষ বিশ্বাসের জমির ফসল সবই নষ্ট হয়েছিল। তিনি মেলায় জিলিপি বিক্রি করছিলেন। বললেন, ‘‘চাষের ক্ষতি সামলে নিতে পারছি মেলার দৌলতেই।’’ সাইকেল, মোটরবাইক রাখার অস্থায়ী গ্যারেজ তৈরি করেও বহু টাকা রোজগার করেন অনেকে।

পুণ্যার্জনের পাশাপাশি বহু মানুষের জীবিকারও সংস্থান করে মতুয়া মেলা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement