—প্রতীকী চিত্র।
অর্থাভাবে পানিহাটি পুরসভার আটটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির দায়িত্বে থাকা ১৬ জন চিকিৎসক পুরপ্রধানকে লিখিত ভাবে এ কথা জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, খরচ হয়ে যাওয়া প্রায় আড়াই কোটি টাকার বিল আটকে থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে এই অবস্থার কথা মেনে নিয়েছেন পুরপ্রধান মলয় রায়।
চিকিৎসকেরা চিঠিতে লিখেছেন, জীবনদায়ী ওষুধের সরবরাহ নেই। সরাসরি তা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রেও আগের বকেয়াই সমস্যা। সেন্ট্রাল স্টোর থেকেও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। বলা হয়েছে, কম্পিউটারের প্রিন্টার খারাপ, ইন্টারনেট সংযোগ নেই। রক্তচাপ মাপার যন্ত্রও আর্থিক কারণে মেরামত করা যাচ্ছে না!
পুরপ্রধান বলেন, ‘‘বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি। আসলে কার্যনির্বাহী আধিকারিক বদল হওয়ায় নতুন করে সব করতে কিছু সমস্যা হচ্ছে।’’ পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘খুবই লজ্জার ঘটনা। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে কী করা যায় দেখছি।’’
পানিহাটির এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে বছরে ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ পরিষেবা পান। ১০০ জন শিশুর মধ্যে ৭০ জনের টিকাকরণ হয় এখানেই। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, আরও দিন দশেক এমন পরিস্থিতি চললে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।