—প্রতীকী চিত্র।
নোয়াপাড়া থানার একটি মামলার তদন্তে নেমে কলকাতার ভবানীপুর থানার চৌরঙ্গি থেকে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আট জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, বেসরকারি ব্যাঙ্ক আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে ধাপে ধাপে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া বিমার টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করত ধৃতেরা। এ ভাবেই তারা সুরজিৎ বাগচি নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোট ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ধৃতেরা সকলেই ভবানীপুরের একটি কল সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত। ব্যাঙ্কের বিভিন্ন স্কিম ও বিমা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের দখল আছে বলেও তদন্তকারীদের দাবি।
এই ঘটনায় নোয়াপাড়া থানার তদন্তকারী আধিকারিক অর্ধেন্দু দেবনাথ জানান, ‘‘প্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক মিথ্যার জাল ছড়িয়ে এই প্রতারণা চলেছে দীর্ঘ সময় ধরে। অভিযোগ পাওয়ার পরে নজরদারি শুরু করলেও প্রথমে কিছুই বুঝতে পারা যায়নি। অভিযোগকারীর কল লিস্টে থাকা মোবাইল ফোনের টাওয়ার ধরে মেলাতে গিয়ে ভবানীপুরে একটি কলসেন্টারের হদিশ পাওয়া যায়। শুক্রবার সেখানে হানা দিয়ে আট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় সাতটি স্মার্টফোন, ৩৩টি কি-প্যাড মোবাইল ফোন, প্রচুর নথিপত্র। ওই সব নথি থেকে প্রতারণা সংক্রান্ত অনেক তথ্য মিলেছে বলেও পুলিশের দাবি। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ, এই ধরনের প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত কমিশনারেটের প্রত্যেক থানাতে তৈরি সাইবার বন্ধু কর্নারের দ্বারস্থ হোন।’’