নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় এক মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনার জেরে রবিবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মহেশতলা। একের পর এক মদ ও জুয়ার ঠেকে ভাঙচুর চালাল প্রমিলা বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ হিমশিম খেতে হয় মহেশতলা থানার পুলিশকে। ক্ষুব্ধ মহিলাদের দাবি, মদ ও জুয়ার ঠেক রমরমিয়ে চলতে থাকায় দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি বেড়েছে এলাকায়। যার জেরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
শনিবার ভোরে মহেশতলার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে। স্থানীয়দের দাবি ছিল, গণধর্ষণ করা হয়েছে তাঁকে। যদিও কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের রিপোর্ট বলছে, ওই মহিলা যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু স্থানীয় মহিলারা তা মানতে নারাজ।
দিনের পর দিন এলাকায় মদ, জুয়ার রমরমা থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকার প্রায় সমস্ত জুয়ার ঠেকই ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তাদের সঙ্গেও ওই প্রমিলা বাহিনীর তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ তাঁদের উপরে অন্যায় ভাবে লাঠিচার্জ করেছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। গতকালের ওই মহিলার নিগ্রহের ঘটনায় পুলিশ যথেষ্ট তৎপর ছিল না বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।