—প্রতীকী চিত্র।
বারুইপুরের উত্তরভাগে পাম্পিং স্টেশনের সংরক্ষিত এলাকায় জলের স্রোতের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে রবিবার বিকেলে তলিয়ে গিয়েছিল বছর পনেরোর মহম্মদ নাসিম। প্রায় ১৯ ঘণ্টা পরে সোমবার পাম্পিং স্টেশনের জলে পাথরের ধার থেকে উদ্ধার হল তার মৃতদেহ।
কলকাতা পুর এলাকা, রাজপুর-সোনারপুর ও বারুইপুরের একটি অংশের জল উত্তরভাগ এলাকার ওই পাম্পিং স্টেশন হয়ে বিদ্যাধরী এবং মাতলা নদীতে গিয়ে পড়ে। জমা জল পাম্পিং স্টেশন হয়ে খালে পড়ার সময়ে বিরাট স্রোতের সৃষ্টি হয়। তা দেখতে সংরক্ষিত ওই এলাকায় ভিড় জমান অনেকেই। রবিবার এক বন্ধুর সঙ্গে ওই এলাকায় আসে নাসিম। স্থানীয় সূত্রের খবর, ফোন হাতে স্রোতের মুখে নেমে রিল বানাচ্ছিল সে। তখনই তলিয়ে যায়।
ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করতে প্রশাসনের তরফে রবিবার রাত থেকেই জোরদার তল্লাশি চলছিল। এ দিন তল্লাশি চালানোর সময়ে নজরে আসে, পাথরের কাছে একটি দেহ আটকে আছে। এর পরেই পুরো পাম্প বন্ধ করে নাসিমের দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পরে সংরক্ষিত ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর দাবি উঠেছে।